মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে : বিমান বসু

23rd March 2021 1:52 pm বাঁকুড়া
মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে : বিমান বসু


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  মানুষের 'গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ' করা হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তার কথা না ভেবে বোমা বারুদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে শাসক দল। অভিযোগ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সোনামুখী বিধানসভার সিপিআইএম প্রার্থী অজিত রায়ের সমর্থণে পাত্রসায়র হলুদবনি মোড় থেকে বাসস্ট্যাণ্ড পর্যন্ত পদযাত্রা ও পথসভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে  'এখনো সময় আছে ঐ ভয়ঙ্কর খেলা' থেকে শাসক দলকে 'নির্লিপ্ত' থাকার পরামর্শ দেন তিনি। বিমান বসু এদিন আরো বলেন, মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের ভূমিকা যাতে সুরক্ষিত হয় সে বিষয়ে তৃণমূলকে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

  সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, তৃণমূল থেকে মোদি-অমিত শাহরা লম্বা লম্বা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। ২০০ না,  ২৯৪ কিম্বা  ৩০০ আসন ওনারা পাবো বললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেও তিনি দাবি করেন।

     বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বিমান বসু বলেন, মোদি শাহ্ যতো কম কথা বলেন ততো ভালো। সাত বছর আগে বছরে দু'কোটি নিশ্চিত কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন। তা হয়নি, উল্টে ১৪ কোটি চাকরীর জায়গায় অতিমারি কালে ১৫ কোটি মানুষ কর্মচ্যুত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

  এদিনের পদযাত্রা ও পথসভায় বিমান বসু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, সোনামুখীর দলীয় প্রার্থী অজিত রায় প্রমুখ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।